পরবর্তী সংবাদ (Next News)

পরবর্তী সংবাদ – কবিতা সংকলন

পরবর্তী সংবাদ at National Library of India

parabarti sangbad

  • Paroborti Songbad – Collection of Bengali Poems
  • ISBN :
  • Publisher – Ekhon Bangla Kabitar Kagoj, WB, India
  • Release Date : January 2017
  • PaperBack : 80 Pages 
  • Price : Rs.80

পরবর্তী সংবাদ সম্পর্কে বলছেন বাংলা কবিতার ভিলেন কবি বারীন ঘোষাল

যেন কেউ সংবাদ পড়ছে। কী তার নিঃশব্দ, অযুক্তি, যাত্রাপথের ভেক্টরহীন টাইমমেশিন, বিষয়হারানো বস্তু, তার হারানো কম্পাস… চরিত্রহীন দিকশূন্য অলীক নাটক চলছে যেন আর লেখক সঞ্জয়ের মতো বিবরণ দিয়ে চলেছে, পরবর্তী সংবাদ পড়ে চলেছেন হকিং-এর আঙুল ধরে, শ্রডিঞ্জারের আলো জ্বেলে, অদ্ভুত সেই কণার খোঁজ।

পৃথিবীতে আগে ভার্স ছিল, যা থেকে প্রোজ-এর আবির্ভাব হয়েছে। বাংলায় নতুন কবিতার ভাবনাটা ক্লিক করে নিন। নতুন কবিতা এগোচ্ছে – সেই নির্মিতিটা ক্ষণমুক্ত করে নিন। নির্মাণ বলিনি কিন্তু, নির্মিতিক্ষণের কথা, যাত্রাপথে ভেক্টর নেই, নিশ্চিত কিছু নয়, বিধিবদ্ধতা নেই, সময়ের কম্পাস হারিয়েছি সেই অবস্থা, বিষয় নেই বস্তুটি আছে, এভাবে নতুন কবিতা এগোচ্ছে কোনো প্রতিমা অলক্ষ্য ক’রে, ইতিহাস দর্শন বিজ্ঞান বস্তুর বাস্তবতা মুছে যে নাচরিত্রগুলো অলীক অভিনয় ক’রে চলেছে, – সত্যিই কি একটা মঞ্চ আছে নাকি আনস্টেডি মঞ্চের মজা- ও নাটক নয়। নতুন গল্প হচ্ছে যেমনভাবে নতুন কবিতা হয়। আমরা দেখতে থাকি ভাবতে থাকি শব্দহীন ন্যারেশান ভারি মজা তো – বিকল্প ইতিহাসের খোঁজে প্যারালাল ইউনিভার্স, গেম অফ লাইফ, অ্যারো অফ টাইম, ফোকাস বিন্দুর উল্লাস, টাইমমেশিন, কফি উইথ কোয়ান্টা – ইত্যাদি না-গল্পগুলোকে ‘নতুন গল্প’ বলা যাবে… তারপর পরবর্তী সংবাদ…তারপর সফরান্তরের গল্প… তারপর…

রুণা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা গল্প রচনার নতুন দিকদর্শন করেছেন প্রায়। তিনি একেবারে ‘নতুন গল্প’ লিখেছেন যা বাংলা সাহিত্যে ছিল না। একদিন তো বাংলা সাহিত্যে ‘নতুন কবিতা’ও ছিল না।

‘ফোকাসবিন্দুর উল্লাস’ গল্পটাই ধরা যাক – “নিসর্গ ফোটার আগে অপেক্ষায় বসছে / একটা দীর্ঘ উপমা / ভিট্রিয়াসে ভেসে যাওয়া দৃশ্য / জলসিঁড়ি খুঁজছে / ভেতরবাড়ির দরজা খুলে দাঁড়িয়ে আছে / রেটিনার দেয়াল / কখন অলীক নাটকটি মঞ্চস্থ হবে / তারই প্রতীক্ষায় / সংলাপে লুকিয়ে রাখা অট্টহাসি / উলটে রাখছে ইমেজগুলো / সৎ অসতের দ্বন্দ্বে দুলছে / ফোকাসবিন্দুর উল্লাস / জীবন থেকে চলকে ওঠা / দুএকটা অপরূপ / অন্তরমহলে বাজিয়ে দিল / উৎসের উৎসব”

ফোকাসবিন্দু তৈরি করা আর তার উল্লাসের নতুন গল্পটি অসাধারণ। এভাবে অনেক ‘নতুন গল্প’ লিখে রুণা আমাদের অবাক করেছেন। তাঁর এই নতুন গল্পপন্থার জয়জয়কার হবে একদিন।

পরবর্তী সংবাদ সম্পর্কে বলছেন ভিন্নমুখ পত্রিকার সম্পাদক কবি চিত্তরঞ্জন হীরা

পরবর্তী সংবাদ পড়তে শুরু করে স্বাভাবিক কারণে ভূমিকা থেকে পাঠ শুরু হয়। তার আগে অবশ্য চতুর্থ প্রচ্ছদে চোখ বুলিয়ে নেওয়া। নানারকম প্রতিক্রিয়া হচ্ছিল। পাঠক হিসেবে আমি আমার অবস্থান বসি বিকল্প ইতিহাস পাঠ ধরে। আমাকে সাহায্য করলেন কবি তাঁর উৎসমুখে দাঁড় করিয়ে রেখে। একদিকে দার্শনিক আরেকদিকে বিজ্ঞানী, মাঝখানে এসে বসলেন কবি। তাহলে আড্ডাটা কেমন হবে? চেতনার অন্তরমহলে ঢুকে পড়ছি আমরা। প্রাণে বাজছে শব্দের নানা তরঙ্গ, নানা ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া – “সমস্ত কোলাহল পিছনে ফেলে নিঃসঙ্গ হেঁটে যায় দিগন্তের দিকে। বিষয় থেকে বিস্ময়ে, বিস্ময় থেকে সংশয়ে এক কেন্দ্রাতিগ ভ্রমণে রচিত হতে থাকে বিকল্প ইতিহাস”।

তো এই ইতিহাসটা কী? – কৃষ্ণগহ্বর থেকে উঁকি দিচ্ছে সমান্তরাল সেই বিশ্বটি যেখনে কোয়ান্টাম সুন্দরীর কালো হরিণ চোখ এঁকে যাচ্ছে কথা হারানোর সাদা ক্যানভাস। সাতরং মিলিয়ে দিলেই এই অসীম অনন্ত সাদার বাহারানা। যদিও উল্টোপিঠে আপেক্ষিকতার উল্লাসটুকু শুধু কয়েকটা রেখা মাত্র। আর এই পিঠ উল্টে বারবার দেখা আমাদের মুদ্রাদোষ।

উঁকিতে ঝুঁকিতেই ভরে উঠছে দিনগুলো। একজীবনে কত কত নুড়িপাথর জমা হয়ে গেল। মৃতপালকের অরূপ দীর্ঘশ্বাস জাটিঙ্গা পাখির মতো উড়ে উড়ে এসে পড়ছে আলোকস্তম্ভের ওপর, হাওয়া খেলছে শূন্য বরাবর, অসীমের শূন্য নিয়ে মর্মর উলঙ্গ অন্ধকার। অন্ধ নয় সেও।

“গেম অফ লাইফ” – জীবনের খেলা খেলতে নেমে একটা চতুরাঙ্গিক বিশ্বকে আমরা দেখে ফেলি শতরঞ্জ ছকের ওপর। খোপে খোপে জীবন অথবা মৃত্যু, মৃত্যু অথবা মায়া, মায়া অথবা বিভ্রম, ছাড়িয়ে বাকিটা নিরবচ্ছিন্ন চেতনা – একটা অবস্থান খুঁজে ফেরা।

সময়ের তির বিদ্ধ করতে থাকে, সে অনন্ত, তাকেই প্রথম প্রেমের মুহূর্তে ডেকে নেওয়া। তাকেই ভেঙে ভেঙে আর যখন ভাঙা যায় না , তারপরও বিস্ময়ের তরঙ্গে, সংশয়ের কাঁটাতার ডিঙিয়ে আশ্চর্য দেখার সমস্ত বাস্তবতাকে নস্যাৎ করে অন্যমনস্ক আঙুলে বাজিয়ে তোলা। জীবনের স্রোত। এরপরই মহাবিশ্বের সুর মিলে যেতে থাকে খেলার সঙ্গে। আবার সেই অসীমের খেলাঘর…

“নিসর্গ ফোটার আগে অপেক্ষায় বসছে
একটা দীর্ঘ উপমা…”                       (পৃ-১৮)

ভেতরবাড়ির দরজাটা খুলছে, পাখি ডেকে ওঠে, অপরূপ জীবন চলকে ওঠার ডাক পাখালিতে, উৎসের উৎসবে। আহা! ফোকাসবিন্দুর উল্লাস যেন এভাবেই ভেতরে ভেতরে উড়ছে। তুলোট বিন্দু তো উড়বেই।

স্বভাবত উল্টে যাচ্ছে ইমেজগুলো। সংলাপে লুটিয়ে পড়ছে হাসির আটখানা মন্তাজ। সেজে উঠছে তুরিভেরি পাঞ্জজন্যতা। শঙ্খনাদের যুদ্ধটা আসলে ভেতরেই। মনে মনে। মনান্তরে বসুধার একটা চওড়া কোল। বুকের ওপর আঙুল ছোঁয়ালে কোলে এসে নামবে অপার শূন্যতা। শূন্যেরও যে এত রূপ হয় তা কি জুলেভার্ন জানতেন?!

“পাখি তাই উড়ে গেলো সন্তানের জন্মমুহূর্তে
উড়তে উড়তে কোপেনহেগেনের পকেট থেকে বের করলো
দ্বিমুখী প্রকৃতির অন্তর্নিহিত অর্থ
ধ্রুপদী সংগীতে নিহিত প্রেম ফিরে গেলো আলোর রান্নাঘরে”           (পৃ-২২)

এই যে ভেঙে পড়া যৌগের ছড়ানো মৌলে খেলে বেড়াচ্ছে গ্লুকোমার বুদবুদ, সেখানে চোখের পাতার একভাগ হাসি আর তিনভাগ কান্না যেন সম্পুরক হয়ে ওঠে প্রেমের মধ্যে। একদিন সে অন্ধ হয়ে থাকে কিন্তু, ভালোবাসা মিথ্যে নয়। ভালোদেরও বাসা হয় আনাচে কানাচে। কবিতার অন্তরমহল এবং কাতর অভিপ্রায় যখন বর্তমানের ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে নেমে যেতে থাকে তখন আমাদের ভেবে দেখতেই হয় – এখানে বিষয় থেকে উৎসারিত বিস্ময় কতটা জাগ্রত হল, আর বিপরীতার্থে এও মনে জাগে নৈঃশব্দ্য তাড়িত বিস্ময়ের মধ্যে কতটা বিষয় থাকতে পারে। সব মিলিয়ে সেই বিষয়-আশয়, সংসার-সন্তান, লালন-পালন নিয়েই কবিতার একজীবনের সম্ভাবনা।

না শূন্য মিথ্যে নয়, মিথের শূন্য কতটা সত্যে আবর্তিত হল, কতটা ব্রহ্মন থেকে ব্রহ্মনায় কেন্দ্রাতিগ, কতটা আবর্তিত সত্যের কাছে নভূতঃ নভবিষ্যতঃ। এরপর কেন্দ্রাতিগ হলে কে কোথায় দাঁড়াবে?

বিশ্বায়নের বিশ্বজোড়া ফাঁদ পাতা, তারই মধ্যে এই বর্তমান ও অবর্তমান, এই কোয়ান্টাম মেডিটেশান। ব্রহ্মকর্ষণ হল চুম্বকের মেরুতে মেরুতে। অবিহ্বল অন্তঃপুর, হৃদয়কণার দ্বৈতসত্তায় সেই পুরবাসীগণ ব্যাকুল হয়ে উঠছে। অজস্র প্রজাপতিমুখ চোখ রাখছে গ্র্যাভিটি অগ্রাহ্য করে- “ভালোবাসার টান এমনই এই নির্মোহ জলতরঙ্গ”…

বিশ্বলোক, নিশিগর্ভ আলোকিত মুহূর্ত। ব্রহ্মার গর্ভে জন্ম নিচ্ছে একটা ভ্রূণ, আনবিক বিস্ফোরণের আগে হয়তো দেহটা পূর্ণ হবে। এক হিমমগ্ন নিভুডাঙার ওপর  ধিকি ধিকি চলেছে নির্মাণকল্প, একটা উপপাদ্য যা জ্যামিতিক নয়, আনুভাষিক। শূন্যযাত্রাপথে আমরা চলেছি দিকচিহ্নহীন।

বিকল্প ইতিহাসপর্ব দার্শনিক উপলব্ধি এবং বিজ্ঞান চেতনার মেলবন্ধনে ক্লাসিক, কিন্তু কণাতরঙ্গের দোলগুলো অনেকটাই ছড়ানো ছেটানো। আসলে বিষয় এবং বিস্ময়ের মাঝখানে এই ছড়িয়ে পড়াটাই এই কবিতাগুলোর খাপ ও খোপ। যেমন স্নেহ অতি বিষম বস্তু।

ঠিক সেই উল্টোপিঠের আলো এল ‘পরবর্তী সংবাদ’ পর্ব ধরে ধরে। যতই প্রলয়ের পূর্বাভাস দিয়ে শুরু হোক তার নির্মাণের মধ্যেই নির্বাণটুকু নিহিত। আঙুলের উঁকি আর নতুন দুঃসাহস একাকার। রিয়ার দুপুর থেকে খুঁটে তোলা শুশ্রষা বেজে উঠছে লাবণ্যরাত্রির মধ্যে। তবে ৪ সংখক কবিতাটির মধ্যে মনে হল দুটি কবিতা রয়েছে।

সজনীর পাগলামোতে পাগল হয়ে ওঠা আমার এখনও গেল না, আমি দুলে উঠছি,

মুখের ভেতর মুখ খুলছে
হসন্তদের দল
হাসির খুনে রজঃস্বলা
আড়াল ও আবডাল”                   (পৃ-৫৩)

বাকিটা নিছক পরিহাস জেনেও উঠে দাঁড়ালাম মহুয়া জড়ানো মৃত্যুর ফাঁদে।

এরপর কাউন্টডাউন শুরু হল, মনে হচ্ছিল এবার অন্যকিছু খুলবে। ঠিক তাই, পরতে পরতে –

“পাখির চোখে বাড়ানো অ্যাপার্চার
আকাশমুখী পালকে স্তর জমছে”            (পৃ-৫৭)

জমা আদরের জল সরিয়ে পলি, খুঁড়ে চলেছে পেরোনো জীবন। জুম ইন জুম আউট করতে করতে মণিবন্ধের রাগ মেখে পরাগে ফাল্গুন।

শুধু কবিতার জন্যই মন খুলছে বর্ণব্রহ্মকে। খুঁজছে পরাজয় মুছে সব পারিজাত হোক। পারি তো পারি, সবটুকু কি আর একলা পারি? অন্যদেরও সঙ্গে নিতে হয়। প্লাবন ডাকছে নদী, সন্ধ্যাকোহল আত্মরতি-

ওকে ভাসতে দিয়ে দেখো
দ্বৈপায়নও ঘর বেঁধেছে জলকে চলার ঢঙে”           (পৃ-৬০)

অবিরাম বুদবুদের ভারে শূন্য হয়ে ওঠে উন্মাদনা, ঐন্দ্রজালিক ইশারা, মৎসকন্যার লালচোখ, নীলচোখে যেন পাল্পক খেলছে নিঃশব্দ নিয়ে। কথারা কথায় কথায় যত উপচে পড়তে চায়, গোপনে তারা শাসনও চায়, কারণ অনেক আলো যে গোপন হচ্ছে অন্ধকারের চাপে।

জলমহল থেকে এক ফোঁটা রং নিয়ে রঙমহণলে তরঙ্গ তুলে যখন নাচ শুরু হয় তখন দর্শক দেখছে চুপকথার পাতায় পাতায় ছাপ পড়ছে নাচমুদ্রার। তারা তারা বলে নিরাময়ের গায়ে জ্বলে ওঠে উশুম উশুম দোল, আশকারায় লেগে যায় সোনারং, আঙুলে লতিয়ে ওঠে উন্মাদ চাঁদ।

নৈঃশব্দ্য ছুঁয়েই এই শান্ত পারাপার। নাভি থেকে টানা সুড়ঙ্গে বেয়ে যতটুকু নামা গেল সেদিকেই উৎস ভাসছে। অস্তিত্বের ডাক আসে ওখান থেকেই। বেদনাবিষাদ আর্তনাদগুলোও মাঝে মাঝে সাড়া দেয় –

কুলকুণ্ডল থেকে ফোঁটা ফোঁটা শূন্য
উড়ছে তরঙ্গে ব্রহ্ম প্রবাহে
অনন্ত হেসে ওঠে
শূন্যের দেয়ানেয়া দেখে”                 (পৃ-৭৫)

তবু যখন বুঝতে পারি অনন্ত এখনও তার অন্তহীন আশ্রয়ের হাত কাঁধে রেখে দাঁড়াচ্ছে তখন ভরসা পাই। খোলা হাসির হাট তাহলে হারিয়ে ফেলব না। ঠিক চিনতে পারছি,

“পূর্বপরাগ অন্তরঙ্গ হারানো হৃদয়পুর
আমিও থাকি নেইঠিকানায়
কথায় না হোক সংলাপে”              (পৃ-৮০)

অনেক শব্দ অনেক পঙ্‌ক্তি অনেক চলন নিয়ে আরও যা যা বলার ছিল তাকে অবাক দিয়ে ঢাকলাম।

প্রকাশকের মন্তব্য

রুণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখার সাথে যাঁরা পরিচিত তারা জানেন যে তাঁর বিচিত্র মনোজগতকে ধরতে গেলে শব্দ প্রয়োগের এক তীব্র অনুভব শক্তি নজরে আসে। পাঠক এক একটি পংক্তির মধ্য দিয়ে শব্দের নানা সম্ভাবনার উন্মোচন দেখতে পান। ‘পরবর্তী সংবাদ‘ গ্রন্থটি পাঠেও সেই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবেন পাঠক।তিনি তাঁর কথাগুলিকে বলেছেন নিজের ভাষায় বরাবরের মত যা তাঁকে সমকালীন কিংবা আগামী কোনও তকমাতেই ভূষিত না করে এক উজ্জ্বলতর পাঠসুখের তীব্রতা দিতে চাইবে।লেখা যখন দর্শন  ধ্যানময়তা প্রাণ বিহ্বলতায় মগ্ন করে রাখে লেখককে তখন তা এমনভাবেই যে কোনও প্রচলিত সাহিত্য সংজ্ঞাকে উপেক্ষা করে পৌঁছে যায় পাঠকের কাছে।

Back to Home